গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ২২ জুন রাতে গলাচিপার গোলখালী ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মনির হোসেন অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে অজ্ঞান অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মঙ্গলবার রাতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে একবার মাত্র কথা বলেছেন, ওই সময় তিনি ভারতের বিহারে বাড়ি এবং নিজেকে রাম ঢাহী পিতা শ্রীমান ঢাহী বলে পরিচয় দেন। এর পর ওই ব্যক্তি কারো সাথে কোন কথা বলছেন না। সারাদিন ঘুমালেও রাতে জেগে থাকেন এবং একা একা গুণগুণ করে কথা বলেন।
এ ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরতরাও বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুন গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মনির হোসেন অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে ইমারজেন্সিতে নিয়ে আসে।
ওই ব্যক্তি অজ্ঞান থাকায় তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি আগের চেয়ে অনেক সুস্থ আছেন। কিন্তু আজ ৯ দিন হয়ে গেলেও কারো সাথে কোন কথা বলেন না। আর একা একা যা বলেন তা কেউ বুঝে না। এ প্রসঙ্গে গোলখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মনির হোসেন বলেন, ২২ জুন রাত আটটার দিকে স্থানীয় লোকজন আমাকে ফোন দেয়।
আমি গিয়ে দেখি আমখোলার মুশুরীকাঠি গ্রামে নির্মাণাধীন স্লুইসের পাইপের মধ্যে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে। অজ্ঞান থাকায় পুলিশে খবর দিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেই। এ বিষয় গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবাবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মু. মনির হোসেন বলেন, ‘ওই ব্যক্তি নিজেকে রাম ঢাহী পিতা শ্রীমান ঢাহী ভারতের বিহারের পরিচয় দেয়।
এর বেশি কিছু সে বলতে চায় না। বিষয়টি আমরা থানা প্রশাসন ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এ ঘটনা প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমরা খতিয়ে দেখছি।’